ফ্রিল্যান্সিং: আত্মবিশ্বাসও আপনাকে সফলতার চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে!

প্রথমে একটা ওভার কনফিডেন্স এর গল্প বলে শুরু করি। আমি তখন সম্ভবত ক্লাস এইট বা নাইনে পড়তাম। তখন প্রাইমারি স্কুলের ইউনিয়ন ভিত্তিক ফুটবল খেলা চলছিলো। যদিও প্রাইমারী স্কুলের খেলা কিন্তু প্লেয়ারদের বেশিরভাগেই থাকতো স্কুলের পুরাতন স্টুডেন্ট।

💁‍♂️ আমাদের স্কুলেরও খেলা চলছিলো। যারা খেলছে সেখানে ৫-৬ জনেই পুরাতন স্টুডেন্ট। প্রতিপক্ষেরও সেইম অবস্থা। সেই সময়ে গোলকিপার হিসেবে কয়েক ম্যাচ খেলেছিলাম গ্রামে। তাই আমাকে গোলকিপার হিসেবে নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো খেলা শুরু করলেও আমাকে দলে রাখা হয় নাই। গোলকিপারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো অন্য একজনকে।

💁‍♂️ কিন্তু আমার তো আর তর সইছে না। নিজের মাঝে খুব ওভার কনফিডেন্স কাজ করছে। কেনো জানি বারবার মনে হচ্ছে ওর থেকে আমি ভালো গোল ধরতে পারবো। আর এজন্য বারবার ওর ভুলগুলো বারবার স্কুল শিক্ষকদের সামনে তুলে ধরছিলাম। আর এভাবেই খেলার মধ্য বিরতি হয়ে গেলো। অতঃপর আমার ওভার কনফিডেন্স দেখে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলো গোল কিপারের। তারপর খেলার দ্বিতীয়াংশ শুরু হওয়ার ৫-১০ মিনিটের মাথায় দুইটা গোল খেলাম। যার কারনে ঐদিন আমরা ম্যাচ হেরে বাসায় ফিরি।

💁‍♂️ ফ্রিল্যান্সিং এর বেলায় ব্যাপারটা একদম ভিন্ন। তবে আত্মবিশ্বাসই যথেষ্ট। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের দরকার নেই। আমার শুরুটা ছিলো একদম অচেনা প্রজেক্টগুলো দিয়ে। কাজ শিখেছি ওয়েব ডিজাইন। কিন্তু প্রথম যেই কাজটা পাই সেটা ছিলো একটা ইমেইল কোড করে দেয়া। কিন্তু ওয়েবের কোড আর ইমেইলের কোডগুলো একদম ভিন্ন। কারন ওয়েবের কোডগুলো ইমেইলে সাপোর্ট করে না।

💁‍♂️ ক্লায়েন্ট যখন আমাকে নক দেয়। আমি তখন একদিকে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলছি অন্য দিকে ইউটিউবে ঘাটাঘাটি করছি ইমেইল ডিজাইন নিয়ে। যখন আত্মবিশ্বাসটা তৈরী হলো যে হ্যাঁ আমি পারবো। তখন ক্লায়েন্ট থেকে কাজটা নেই। এবং সম্পূর্ণ কাজটা ইউটিউবের হেল্প নিয়ে কমপ্লিট করি। এটাই ছিলো ফাইভারে আমার প্রথম কাজ।

💁‍♂️ তারপর আমার ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ট সবগুলো কাজই আমার কাছে নতুন ছিলো। কিন্তু একমাত্র মনের মাঝে আত্মবিশ্বাস থাকার কারনেই প্রতিটা কাজে ইউটিউব ও গুগল থেকে হেল্প নিয়ে নিয়ে কমপ্লিট করেছি। এখানেই শেষ না। এর পর এরকমভাবে আরো অনেক প্রজেক্ট করেছি। এমনকি এখনো কোনো ক্লায়েন্ট যখন অফ টপিকের জন্য নক দেয় আর সেটার যথেষ্ট রিসোর্স গুগল ও ইউটিউবে পাই। তাহলে সেই ক্লায়েন্টকে ফিরিয়ে দেই না। কারন স্কিলের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসটাও এখন যথেষ্ট সাহস দেয়।

💁‍♂️ আপনাকে ক্লায়েন্ট যেই কাজের জন্য নক দেক। চেষ্টা করেন একটু ঘাটাঘাটি করে হলেও তাকে ধরে রাখার। প্রথম দিকে আমাকে যখন নক দিতো। আমার ভালো পোর্টফোলিও ছিলো না। কিন্তু একই বিষয় গুগলে সার্চ দিয়ে যেইগুলো আমি পারবো বলে মনে হয়। সেই কাজগুলো ক্লায়েন্টকে শো করতাম। এবং এভাবে অনেক প্রজেক্ট ও পেয়েছি।

💁‍♂️ নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখেন। আত্মবিশ্বাস মানসিক শক্তি যোগায়, সাহস দেয়, এবং সফলতার চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়, যদি বা আপনি ভেঙ্গে না পড়েন…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *