গত পোষ্টে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে যতদুর পেরেছি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে লিখেছিলাম। আজকে লিখছি একজন বিগেনার হিসেবে কিভাবে কাজ শিখতে পারেন ও ফ্রিল্যান্সিং এ আসতে পারেন।
শুরুতেই বলে রাখি। আপনি যদি শর্ট টাইম নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসতে চান। তাহলে এই সেক্টর আপনার জন্য না। এখানে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই ৬ মাস বা ১ বছর সময় নিয়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট এ নামতে হবে। একজন মানুষ যেমন এসএসসি পাশ করেই বিসিএস সমমান জব করার স্বপ্ন দেখা কেবল স্বপ্ন’ই, একই ভাবে এক মাসে কাজ শিখে মাসে লাখ টাকা কামানোর স্বপ্ন দেখা ফ্রিল্যান্সিং এ ও কেবল স্বপ্ন’ই।
আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন। তাহলে আগে আপনাকে ডিসাইড করতে হবে আপনি কি কাজ করবেন। সেটা হতে পারে গ্রাফ্রিক্স ডিজাইন, হতে পারে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ডাটা এন্ট্রি। এখানে ক্যাটাগরির কোনো শেষ নাই।
আপনি যখন ডিসাইড করতে পারবেন কি কাজ শিখবেন। তখন সেই কাজের রিসোর্স খুঁজে বের করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে সেই কাজের প্রতি আপনার মন থেকে ভালো লাগা কাজ করতে হবে। তারচেয়ে বড় বিষয় হলো সেই কাজের প্রতি আপনাকে সিরিয়াস হতে হবে। একটা নিশের উপর আপনি যখন সিরিয়াস হয়ে শিখা শুরু করবেন। তখন আপনার থেকে ভালো আর কেউ শিখতে পারবে না।
কিভাবে নিশ সিলেক্ট করবেনঃ
উদাহরন হিসেবে ধরি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আগ্রহী। তাহলে প্রথমেই কি আপনি কোনো ইন্সটিটিউটে গিয়ে ভর্তি হবেন? হতে পারেন। কিন্তু আপনার লাইফ থেকে ৩-৬ টা মাস জলে(পানিতে) দিলেন। আর যেই সময়টা আপনি ব্যায় করবেন। সেই সময়টা আর ফিরে পাবেন না। কারন বাংলাদেশে বেশিরভাগ ইনস্টিটিউটই এখন ফ্রিল্যান্সিং শিখানোর নামে বিজনেস করে। যেখানে আপনাকে কাজ শিখানোর কথা সেখানে আপনাকেই তাদের মার্কেটিং পারপাসে ইউজ করবে। দেশের ৮০-৯০ ভাগ প্রতিষ্টানই এরকম। এখন তাদের কোর্স ও স্কিনশর্ট নিয়ে কাঁদা ছুড়াছুড়ি চলে। এ বিষয়ে পরে বলি…
তাহলে কোথায় কাজ শিখবেন। আপনি যেই নিশ সিলেক্ট করেছেন। সেই নিশের ক্যাটাগরিগুলো আগে খুঁজে বের করুন। উদাহরন হিসেবে যদি বলি, আপনি যখন ফাইভারে গেলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের আন্ডারে কম হলেও ৫০-৬০টি ক্যাটাগরি পাবেন। আবার সেই ক্যাটাগরিগুলোরও আবার সাব ক্যাটাগরি রয়েছে ৫-১০ বা তারও বেশি।
এবার ধরেন আপনি প্রিন্ট ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। প্রিন্ট ডিজাইনের আবার অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন ফ্ল্যায়ার ডিজাইন, ব্রুশিয়ার ডিজাইন, মেনু ডিজাইন, পোষ্টার ডিজাইন, পোষ্ট কার্ড ডিজাই ইত্যাদি।
এখন আপনি যদি একসাথে সবগুলোতে নেমে যান, তাহলে আবার বোকামি করলেন। আপনি মাত্র একটা ক্যাটাগরি দিয়ে শুরু করেন। যেমন ফ্লায়ার ডিজাইন। অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা কেবলমাত্র ফ্লায়ার ডিজাইন নিয়ে কাজ করেও এখানে রাজত্ব করছে। তাছাড়া আবার ফ্ল্যায়ার ডিজাইনের মাঝেও ভিন্নতা রয়েছে। যেমন বিজনেস ফ্লায়ার, কর্পোরেট ফ্লায়ার, রেস্টুরেন্ট ফ্লায়ার, রিয়েল স্টেট ফ্ল্যায়ার ইত্যাদি। একটা ক্যাটাগরিতে যখন আপনি এক্সপার্ট হবেন। তখন অন্য ক্যাটাগরি পানির মতো সহজ হয়ে যাবে।
তাহলে কিভাবে শুরু করবেনঃ
যখন আপনি আপনার নিশ ডিসাইড করে নিলেন। এবার ইউটিউবে চলে যান। প্রতিটা টপিকের উপরে ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও আছে। সেটা বাংলা, হিন্দি, ইংরেজী বা উর্দু। সব ভাষারই আছে। আপনি যেটা কমফোর্ট ফিল করেন। সেটা থেকে দেখা শুরু করেন। প্রেকটিস শুরু করেন। প্রতিটা টপিকে ৫-১০ টা ডিজাইন কপি করেন। প্রতিদিন দুইটা ডিজাইন প্রেকটিস করলে মাসে কম হলেও ৫০ টা ডিজাইন কপি করে নিতে পারবেন। (যেহেতু মাসের ৩০ দিনই প্রেকটিস করা যায় না। সবারই ব্যস্ততা ও সমস্যা থাকে লাইফে)।
এক সময় দেখবেন আপনি কালার কম্বাইনেশন, ফন্ট, স্পেসিং এগুলোর সম্পর্কে যথেষ্ট ধারনা পেয়ে যাবেন। এবার আপনার পোর্টফোলিও তৈরী করার পালা।
ফ্রিল্যান্সার ডট কমে একাউন্ট করে সেখানে বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করা শুরু করুন। ক্লায়েন্টের রিকুয়েটমেন্ট অনুযায়ী ডিজাইন করা শুরু করেন। আপনাকে উইনার হতেই হবে এই চিন্তা এখন মাথায় নেয়া যাবে না। চেষ্টা করবেন সবসময় ক্লায়েন্টের রিকুয়েটমেন্ট অনুযায়ী ডিজাইন করার। ফ্রিল্যান্সার ডট কমে একাউন্ট করা থেকে কন্টেস্টে অংশগ্রহন। সবকিছুই ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন।
ইউটিউবে ভিডিও দেখলে হেল্প পাবেন কোথায়ঃ
আমার মনে হয় না যে, এমন কোনো ক্যাটাগরি আছে, যার কমিউনিটি গ্রুপ বাংলাদেশে নাই। ডিজাইনের জন্য কমিউনিটির কোনো শেষ নাই। প্রত্যেক কমিউনিটি গ্রুপে অনেক হেল্পফুল মানুষ রয়েছে। যারা নিঃসার্থভাবে আপনাকে হেল্প করবে। ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটেং প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য অনেক অনেক গ্রুপ আছে। ফেসবুকে একটু রিসার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেনঃ
প্রেকটিস করতে করতে যখন আপনি একটু এক্সপার্ট লেভেলে চলে আসবেন। ততদিনে চেষ্টা করেন আপনার আশে পাশের কোনো ফ্রিল্যান্সারদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করার। চেষ্টা করবেন তার থেকে কাজের পাশাপাশি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে গাইডলাইন নেয়ার। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, যেই বিষয় গুগল ও বিশেষ করে ইউটিউবে পাওয়া যায়। সেই বিষয় নিয়ে অন্যকে জ্বালাবেন না। না হলে একসময় তিনি ডিস্টার্ব ফিল করবেন ও ধীরে ধীরে আপনার প্রতি তার রেসপন্স কমে যাবে।
আপনি যদি ফাইভারে কাজ করার কথা চিন্তা করেন তাহলে আপনি “Fiverr Bangladesh” ও ”Fiverr Help Bangladesh” গ্রুপে একটিভ থাকেন। আপওয়ার্কে কাজ করার ইচ্ছে থাকলে আপওয়ার্ক কমিউনিটিগুলোতে ( Upwork Bangladesh ) একটিভ থাকেন। সেখানে অনেক নতুন ও পুরাতনরা তাদের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করে। তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পোষ্ট হয়, অনেক এক্সপার্টরা তার সমাধান দেন। এগুলো দেখলে একসময় অনেক বিষয় জানা হয়ে যাবে। আমি নিজেও শিখি।
তাছাড়া ফাইভার এর জন্য ইউটিউবে অনেক ফ্রি ভিডিও রয়েছে সেগুলো ফলো করেন। কিভাবে প্রোফাইল সেটাপ করবেন, কিভাবে প্রফেশনাল গিগ তৈরী করবেন সবকিছুই পেয়ে যাবেন। যেমন ফাইভারের জন্য আপনি “Mohammad Ali Nijhoom” সহ অনেকের চ্যানেল রয়েছে যারা নিয়মিত বিভিন্ন টপিক নিয়ে ভিডিও পাবলিশ করে। আপওয়ার্কের বেলায় ও সেইম। তবে আপওয়ার্ক অনেক প্রফেশনাল মার্কেটপ্লেস। সেখানে এক্সপার্ট হয়েই ডুকা বুদ্ধিমানের কাজ।
ততোদিনে আপনার কমিউনিটির অনেক এক্সপার্টদের সাথে পরিচয় হয়ে যাবে। অনেক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে জানা হয়ে যাবে। তখন আপনি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আরো এডভান্স জানার জন্য বা আপনার নিশ সম্পর্কে আরো এডভান্স শিখার জন্য কোনো পেইড কোর্সে যেতে পারেন।
কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন। বাংলাদেশে এখন ৮০-৯০ ভাগ ইন্সটিটিউট ফ্রিল্যান্সিং ট্যাগলাইন ইউজ করে কেবলমাত্র ব্যবসা করে। আপনি কি শিখছেন, না শিখছেন, সেটা তাদের ব্যাপার না। বরং আপনাকে তাদের মার্কেটিং পারপাসেই ইউজ করবে। একটা প্রতিষ্টানের সাথে এখন আরেকটা প্রতিষ্টানের কাঁদা ছুড়াছুড়ি চলে কে কান চেয়ে বেশি ছাড় দিচ্ছে কোর্সে। কিন্তু কোর্সের ভিতর আলু নাকি মুলা। সেটা হয়তো তারাও জানে না।
তবে যদি একান্ত মনে করেন যে পেইড কোর্স করলে ভালো কিছু করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বাকি ১০-২০ পার্সেন্ট মেন্টরদের খুঁজে বের করেন। তাদের থেকে শিখেন। তারা আপনাকে মার্কেটিং পারপাসে ইউজ করবে না। বরং আপনাকে আরো প্রফেশনালভাবে তৈরী করে দিবে। কোর্স ফি ফ্যাক্ট না।
তাছাড়া আগেও যে বলেছি। আপনার আশপাশের যারা ফ্রিল্যান্সিং করছে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করুন। তাদের থেকেও গাইডলাইন নেন। বেশিরভাগ এক্সপার্টরা নিজেদেরকে হাইড রাখার চেষ্টা করে। খুঁজ নিয়ে দেইখেন আপনার এলাকাতেই অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে কিন্তু তার পাশের ঘরের লোক ও হয়তো জানে না। কারন তিনি নিজেকে ঐভাবে কখোনো প্রমোট করেনি বা করার দরকার বলেও মনে করে নি।
কিন্তু মনে রাখবেন। আপনি যে এই ২-৩-৪ মাস প্রেকটিস করলেন। ততো দিনে অবশ্যই বেসিক সহ মিড লেভেলে চলে গেলেন। ব্যাসিক টু এডভান্স ট্যাগলাইনে কোর্সে ভর্তি হলেও তারা যা শিখাবে তার থেকেও বেশি আপনি নিজে জানেন। বরং ক্লায়েন্টের কাজ করতে করতে আপনি এক্সপার্ট হয়ে যাবেন তাছাড়া পরিচিত এক্সপার্ট ও বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপগুলো তো আছেই। সেখানে নিয়মিত বিভিন্ন প্রবলেম নিয়ে পোষ্ট দিবেন। তাহলে অনেক বিষয় জানতে পারবেন।
কমিউনিটি গ্রুপগুলো কতোটা ইমপর্টেন্ট তা বলে বুঝানো সম্ভব না। দেশে অনেক অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা গুগল ও ইউটিউব থেকে কাজ শিখে, কমিউনিটিগুলো থেকে হেল্প নিয়ে আজ সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং করছে।
কমিউনিকেশনের জন্য কি করবেনঃ
যতো যাই শিখেন। কমিউনিকেশন হচ্ছে সবচেয়ে জরুরি। আপনার কাজ যতোই ভালো হোক, তবুও কমিউনিকেশনের উপরেই অনেকটা ডিপেন্ড করে ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিবে কি না।
আপনার যদি মনে হয় শুধু বাংলাদেশী ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করবেন। সেক্ষেত্রে তো সমস্যা নাই। বাংলাতেই সবকিছু হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্টের জন্য অবশ্যই আপনাকে ইংরেজী জানতে হবে। আপনাকে যে সংবাদ পাঠক এর মতো এক্সপার্ট হতে হবে বিষয়টা মোটেও এরকম না। আপনাকে ক্লায়েন্টের রিকুয়েটমেন্ট বুঝার ক্ষমতা লাগবে, ক্লায়েন্ট কোনো প্রশ্ন করলে তার উত্তর দিতে হবে। তার সাথে কথা বলার মতো কনফিডেন্স থাকতে হবে।
ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলে বা মেসেজ এ যতো বেশি ইমপ্রেস করতে পারবেন। কাজ পাওয়া ততো বেশি সহজ হয়ে যাবে। ইভেন কমিউনিকেশনের জন্য অনেক সময় কম বাজেটের প্রজেক্ট ভালো বাজেটে কনভার্ট করা যায়। ওয়ান টাইম ক্লায়েন্টকেও লং টার্ম ক্লায়েন্টে কনভার্ট করা যায়।
আমি রিকোমেন্ড করবো যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এ লং টাইমের জন্য আসবেন। সেহেতু প্রেকটিসের পাশাপাশি ইংরেজীর জন্য কোথাও কোর্স করে নিবেন। তবে অবশ্যই অফলাইনে। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ইংরেজী কতো গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলে বুঝানো সম্ভব না। ক্লায়েন্টের কাজ করাটা কিন্তু কঠিন না। কিন্তু কাজ বুঝে নেয়া টা অনেক কঠিন।
নোটঃ যে যতোই ব্যাসিক টু এডভান্স ট্যাগলাইন ইউজ করেই কোর্স নিয়ে আসুক। সবসময় চেষ্টা করবেন ব্যাসিক টা নিজে থেকে শিখে নেয়ার। না হলে আমার মতো বছর চলে যাবো। তবুও কিছু করতে পারবেন না। আর আপনি যদি গুগল ও ইউটিউব ঘাটাঘাটি করে শিখা শুরু করেন। তাহলে বিশ্বাস করেন। আপনি নিজেই একজন এক্সপার্ট। তবে কারো কোর্স করার আগে অবশ্যই তার সম্পর্কে জেনে বুঝে ভর্তি হবেন। কখনো কারো ডলারের স্কিনশর্ট দেখেই লোভে পরবেন না। আরেকজন যেই কাজ করে, একই কাজ যে আপনি করতে পারবেন, তা না। আরেকজন যেই আর্নিং করে, তা কখনোই আপনি করতে পারবেন না। তখন দিন শেষে ফ্রিল্যান্সিং এর নামে মূলা ক্ষেত শিখবেন।
তবে যেই ১০-২০ পার্সেন্ট আছে যারা মন থেকে শিখায়, সময় নিয়ে হলেও তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের থেকে শিখবেন। তাহলে প্রফেশনালভাবে কাজ করতে পারবেন।
সর্বশেষ একটা উদাহরন দিয়ে পোষ্টটি শেষ করতে চাই। আপনি যদি ৮ বছর লেখাপড়া করে জেএসসি পাশ পরেই চাকরি খুঁজেন। তাহলে বুয়া, ড্রাইবার পদেই কেবল আবেদন করতে পারবেন। আর আপনি যদি ১০-১২ বছর লেখাপড়া করে এইচ এস সি পাশ করে চাকরী খুঁজেন। তাহলে অনেক ভালো ভালো পদ আপনার জন্য উন্মুক্ত আছে। তাই যতো পারেন সময় দেন, যতো পারেন স্কিল ডেভেলাপ করেন। প্রেকটিস একজন মানুষকে পারফেক্ট করে তুলতে পারে।
নোট – ২ঃ আমি কি কাজ করি, কতদিন থেকে কাজ করি, আমার কোনো কোর্স আছে কি না। এসব প্রশ্ন ছাড়া যদি আপনার কোনো কিছু জানার থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আমিও যথাযথ চেষ্টা করবো উত্তর দেয়ার।